[মৌমাছি] তার পেট থেকে বিভিন্ন রঙে পানীয় নির্গত হয়। তাতে মানুষের জন্য রয়েছে সেফা।
(সুরা নাহল, আয়াত-৬৯)
সরিষা ফুলের বৈশিষ্ট্যঃ
- টাটকা মধু দেখতে সাধারণত Extra Light Amber রঙের হয়। তবে কিছু দিন পরে জমে যাওয়ার ফলে সাদা রঙের হয়ে যায়।
- ঘ্রাণ অনেকটা সরিষার ফুলের সাথে মিল খুঁজে পাওয়া যায়।
- মধুর ঘনত্ব কম বা বেশি হতে পারে।
- সরিষা ফুলের মধু ঘন হোক বা পাতলা হক- এটা সারা বছরই জমে থাকে। ঘন-পাতলা এবং তাপমাত্রার উপরে নির্ভর করে সম্পূর্ণ মধু বা বেশীরভাগ মধু জমে সাদা হয়ে থাকে। যেটা একেবারে ক্রিম এর মতো দেখা যায়। সরিষা ফুলের মধু অনেক সময় ফেনা হতে দেখা যায়।
- সরিষা ফুলের মধুতে প্রাকৃতিক ভাবেই অ্যাক্টিভ এনজাইম, প্রোটিন এবং অ্যামিনো অ্যাসিড রয়েছে। এবং মধু একটি কার্বোহাইড্রেট জাতীয় পদার্থ যাতে গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ থাকে।
- আর গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ- কার্বন, অক্সিজেন ও হাইড্রোজেনের সমন্বয়ে গঠিত। এ জন্য সরিষা ফুলের মধুতে যদি ময়েশ্চারের পরিমাণ বেশি থাকে, অর্থাৎ মধুর ঘনত্ব কম হয় বা মধু পাতলা হয় এবং মধু যদি ঝাঁকি লাগে, তখন মধুর মধ্যে রাসায়নিক বিক্রিয়া করে কার্বন ডাইঅক্সাইড তৈরি করে।
- এতে মধুর মধ্যে বায়ু বুদবুদ সৃষ্টি হয় এবং একই সাথে মধু ফেনা হতে দেখা যায় ও পাত্রের ভেতরে গ্যাস হতে পারে, যার ফলে প্ল্যাস্টিক এর বোতল কিছুটা ফুলে যেতে পারে।
- লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে- ফেনা কম বা বেশি হবে ময়েশ্চারের পরিমাণ কম-বেশির কারনে। তবে সরিষা মধু যদি খুব ঘনও হয় তারপরও অনেক সময় সামান্য ফেনা হতে দেখা যায়। মধুতে ফেনা তৈরি হলে সেটাকে কিছুক্ষণ স্থিরভাবে রেখে দিলে আবার সেই ফেনা মধুতে পরিণত হবে। এতে মধুতে কোন ক্ষতি বা সমস্যা হবে না।
Reviews
There are no reviews yet.